সন্তানকে জানতে তার বন্ধু হয়ে উঠুন অনলাইন অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: 6:39 PM, February 11, 2021 এই পৃথিবীতে বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের যে রসায়ন, তার তুলনা আর কোনও কিছুর সঙ্গেই করা যায় না। সন্তানকে কীভাবে বড় করে তুলবেন এই বিষয়ে সব বাবা-মার মনেই নিজ নিজ ধারণা কাজ করে। কেউ কেউ মনে করেন যে, সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই কড়া শাসন আর নিয়মানুবর্তিতার পাঠ শিখিয়ে তাকে বড় করে তোলা জরুরি। আবার কোনও কোনও বাবা-মার মতে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে, জানতে হবে তার সব অনুভূতির কথা। আমরা বলব সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতা অবশ্যই শেখান, তাকে ভালো মন্দের বিচার করতে শেখান। কিন্তু তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক যেন হয় সহজ সরল বন্ধুর মতো। সন্তান যদি আপনাকে ভয় পায়, তাহলে ছোট থেকেও আপনাকে কখনও নিজের মনের কথা সাহস করে বলে উঠতে পারবে না। ও কীসে আনন্দ পায়, কীসে দুঃখ পায় এবং কীসে ভয় পায়, বাবা-মা হিসেবে তার আপনাদের জানা জরুরি। জেনে নিন, কীভাবে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশবেন। * সব সন্তানই চায় যে তাদের পাশে সব সময় দাঁড়ানোর মতো কেউ যেন থাকে। স্কুলে বা বন্ধুদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সেগুলো আলোচনা করার জন্য ওদের কাউকে চাই। আপনার মধ্যে যদি ওরা সেই ভরসার জায়গাটা খুঁজে পায়, তা হলে আপনিই হয়ে উঠবেন ওদের বেস্টফ্রেন্ড। সন্তানের সঙ্গে সারাদিনের শেষে মুখোমুখি বসে কিছুটা সময় কথা বলুন। * আজকালকার দিনে সবাই খুব ব্যস্ত। কিন্তু আপনার সেই ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে থেকেও সন্তানের জন্য কিছুটা সময় বের করুন। অনেক সন্তানই মনে করে যে তাদের বাবা মা তাদের যথেষ্ট সময় দেন না। তখন ওরা নিজেদের বঞ্চিত ও অবহেলিত মনে করতে থাকে। আপনার সন্তানের মনে যেন এই ধারণা কোনও দিন না উঁকি দেয়। তাই সন্তানের সঙ্গে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখুন, বেড়াতে যান। * সন্তানের জীবনে কী ঘটছে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা খুব জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটেকটিভ হয়ে পড়বেন না। এতে ওদের মনে হতে পারে যে আপনি ওদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। ওদের কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক তা প্রথম থেকেই শেখান। যাতে ওরা নিজেরাই ঠিকটা বেছে নিতে পারে। সন্তানকে বোঝান যে আপনি ওকে বিশ্বাস করেন। * সন্তান কী পোশাক পরবে বা কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবে, সেই বিষয়ে ওকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সন্তানের জীবনের সব কিছু আপনি ঠিক করে দিতে যাবেন না। সন্তানের জীবনের সব সিদ্ধান্ত আপনি নিতে গেলে সে আপনার ওপর বিরক্ত হবে এবং সম্পর্কে ফাটল দেখা দেবে। আপনি ওকে পরামর্শ দিতেই পারেন, কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত ওর ওপরে চাপিয়ে দেবেন না। * সন্তানের সঙ্গে সময় অবশ্যই কাটাবেন। তবে কিছুটা সময় ওকে ওর মতো করে ‘একা’ কাটাতে দিন। নিজের মতো নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর অধিকার সকলেরই আছে। Like this:Like Loading... SHARES নারী ও শিশু বিষয়: